রক্ত রক্তের কথা বলে তাঁর রক্তে প্রবাহিত হচ্ছে "বঙ্গবন্ধুর" মুলনীতি ও আদর্শ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা

 

News 24 Express
সিহাবুল আলম সম্রাট, রাজশাহী ব্যুরো::

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া-দুর্গাপুর সংসদীয় আসন-৫। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল আওয়াল এর সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা।  মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দারা এলাকায় জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক ইতিহাসে জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ও ভুমিকায় রয়েছেন আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা। 

শিক্ষা, সংস্কৃতি, ছাত্র-রাজনীতি, রাজনৈতিক নেতা  রাজশাহী-৫(পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সার্বিক উন্নয়নের রুপকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা। পারিবারিক ইতিহাস ও রাজনৈতিক চেতনা এবং মুক্তি যোদ্ধার সন্তান হিসাবে অগ্রণী ভুমিকায় আব্দুল ওয়াদুদ দারা। আব্দুল ওয়াদুদ দারার পারিবারিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস

জন্মঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা ১৯৬২ সালের ২১ অক্টোবর

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল আওয়াল। তিনি পুঠিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কাজী আব্দুল আওয়াল  ১৯৪৭-১৯৭১ সাল পর্যন্ত পুরো সময়টা স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে অতঃপ্রোত জড়িত ছিলেন। রাজশাহীবাসীর গর্ব এই মহান গুনী নেতা ১২ই সেপ্টেম্বর ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করেন।কাজী আব্দুল আওয়াল এলাকায় জননন্দিত নেতা ছিলেন । পিতার রাজনৈতিক জীবদ্দশায় দারা পিতার সাথে থেকেই শিক্ষার পাশাপাশি রাজনীতি চর্চা করতেন।

ছাত্র রাজনীতিতে আপোসহীন আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা। ছাত্র রাজনীতি দিয়েই আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারার রাজনৈতিক জীবন শুরু।১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দ যে সময়ে নিজেকে আওয়ামীলীগ পরিচয় দেওয়ার মতো তেমন কাউকে চোখে পড়তো না। সেই সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ক্রান্তিলগ্নে আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী নিউ ডিগ্রি গভঃ কলেজে ছাত্রলীগ এর প্যানেল দেন এসময়ে সর্বমোট ১৮ টি প্যানেলের ৫ টিতে ভিপি সহ জয়লাভ করেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা।

আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে পড়াশুনা শেষ করে ব্যবসায় মনোযোগ দেন । আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা থেমে থাকেনি তাঁর সমাজ সেবা ও রাজনৈতিক চর্চা। 

রক্ত রক্তের কথা বলে  তাঁর রক্তে প্রবাহিত হচ্ছে "বঙ্গবন্ধুর" মুলনীতি ও আদর্শ। 

তাঁর রক্তে মিশে আছে দেশপ্রেম ও দেশাত্ববোধ। তাঁর রক্তে মিশে আছে রাজনীতি। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া-দুর্গাপুর এর এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। পুঠিয়া-দুর্গাপুর এর সর্বস্তরের জনগনের আস্থা, আশা, আকাঙ্খা, বিশ্বাস,ভালবাসা এবং জনগনের তীব্র চাওয়া ই তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বাধ্য হোন।

২৯ শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা কে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেন।

এক সময়ে (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও বিএনপি- জামায়াতের কাছে হাত ছাড়া হয়ে যায়। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মুক্তি যোদ্ধার সন্তান জনপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব  আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে মনোনয়ন দেন এবং আসনটিতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের জন্য নির্বাচনি এলাকা পুঠিয়া- দুর্গাপুর বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ব্রীজ,কালভাট,স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা,মসজিদ,মন্দীর, গির্জা ও প্যাগোডা সহ আরও অসংখ্যা উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে আত্বনিয়োগ করেছিলেন তিনি।

পরবর্তিতে ৫জানুয়ারী ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই আসনে আবারও আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে মনোনয়ন দিলে দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পুঠিয়ার-দুর্গাপুর উন্নয়নমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য নিজেকে আত্বনিয়োগ করেন।

এভাবে পর্যায়ক্রমে নির্বাচনী এলাকার যুগান্তকারী উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের সমর্থন এবং যুগান্তকারী ভালোবাসা অর্জন করেন তিনি।

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মনোনয়ন বঞ্চিত হন আব্দুল ওয়াদুদ দারা। আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে দলের হাইকমান্ডে বিভিন্ন মিথ্যে তথ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কান ভারী করার অপচেষ্টা চালিয়ে দারাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রাপ্তঃ

সেই বছরের শেষের দিকে আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমস্ত তথ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌছে যায়। প্রধানমন্ত্রী সবকিছু জেনে,শুনে ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে সাধারণ সম্পাদক পদ দেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর হতেই তিনি জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে চলেছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশা, প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস আব্দুল ওয়াদুদ দারা মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল প্রার্থীদ্বয়ের শীর্ষস্থানে জনপ্রিয়তা ও জনবান্ধব নেতা হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে রয়েছেন তিনি।##

News 24 Express 

Post a Comment

Previous Post Next Post