ধর্মপাশায় গরু চুরির ঘটনা থানায় বসে সমাধান

News 24 Express 

এমএ রেজা পহেল,স্টাফ রিপোর্টার::


সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় গরু চুরির ঘটনার এক সপ্তাহ পর থানায় ওসি এর অফিস কক্ষে বসে নগদ টাকা আদায় করে গরু চুরির সংঘবদ্ধ দলটিকে রেহাই দেয়া হয়েছে বলে ধর্মপাশা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। 

অপরদিকে গরু চুরির ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চোরদের  সাথে  স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের যথেষ্ট সখ্যতা রয়েছে বলে ও জানা গেছে। এ ঘটনায় উমায়র ও সামিরুলসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। 

জানা যায়, গত ২৫ মার্চ ইং তারিখে  রাতে উপজেলার সেলবরস ইউপি'র ৮ নং ওয়ার্ডের ভাটকপুর গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলীর গোয়াল ঘর থেকে আনুমানিক ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি বড় ষাঁড় গরু চুরি করে  নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ গরু চোরেরা।

পরে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে  একই গ্রামের শফিক এর ছেলে উমায়রসহ  ওই গরুটি চুরিসহ কয়েকজন চুর এ গরু চুরির সাথে  জড়িত ছিল বলে গ্রাম্য সালিসে স্বীকার করে উমায়র। তার কথার সুত্র ধরে একই ইউনিয়নের   রাজনগর গ্রামের জাবেদ মিয়ার ছেলে সামিরুলকে আটক করে ধর্মপাশা পুলিশ। গরুটি চুরি হওয়ার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে থানায় স্বীকার করে সামিরুল। গ্রাম্য সালিসে চুরি হওয়া গরুর মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯০ হাজার টাকা। সাথে সাথে ৮ হাজার টাকা আদায় হয়। বাকি টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় চোরেরা। পরে আটককৃত..সামিরুলকে 

 সাবেক ইউপি সদস্য লুৎফর রহমানের জিম্মায় থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় বসে এ গরু চুরির ঘটনা নগদ টাকার বিনিময়ের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। 


গরুর মালিক ইদ্রিস আলী বলেন, ৯০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়েছি ৪৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে থানায় দিতে হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। 

সব শেষে আমার হাত থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। 

এ,এস, আই মনিরুজ্জামান বলেন, গরু চুরির ঘটনায় আসামি সামিরুলকে থানায় আটক করা হয়েছিল। পরে লুৎফর মেম্বারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। 

 ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, গরু চুরির ঘটনাটি শেষ হয়েছে জানি। থানায় টাকা দিতে হয়েছে এবং থানায় বসে শেষ হয়েছে এ কথাটা সঠিক নয়। আসামি থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হলে আমার জানার কথা। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post