News 24 Express |
তাহিরপুর প্রতিনিধি:
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের পদায়নে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পদের ৫০ ভাগ শিক্ষক যেখানে কর্মরত আছেন ঐ জায়গায় শিক্ষক না দিয়ে যেখানে শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষক কম কর্মরত ঐ জায়গায় পদায়ন করার বিধান। এখানে ঐ নীতিমালা অনুসরন করা হয়নি। অপরদিকে প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলীর আদেশপ্রাপ্ত শিক্ষদের স্থলে প্রতিস্থাপক হিসাবে নতুন শিক্ষকদের পদায়নের বিধান থাকলেও ঐ নীতিমালা অনুসরন না করায় বদলীর আদেশপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে পারতেছেন না।
তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শরীফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঐ বিদ্যালয়ে একমাত্র শিক্ষক উৎপল সরকার। ঐ শিক্ষক এক বছর ধরে আছেন ডিপিইনএড এ। পার্শ্ববর্তী লামাগঁাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানিক তালুকদারকে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল শরীফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মন্ত্রনালয় সকল প্রেষণে নিয়াগ আদেশ বাতিল করায় তিনি আবার লামাগঁাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূনরায় যোগদান করবেন বলে জানান।
সম্প্রতি নিয়োগ পদায়নে শরীফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষক পদায়ন করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। পদায়ন আদেশের দু’দিন পর আবার তা বাতিল করে অন্য স্কুলে তাদের পদায়ন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকগণ জানিয়েছেন। প্রথমে যাদের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদায়ন করেছেন পরে যারা তার অধিক টাকা দিয়েছে পরিবর্তন করে তাদের গুলোই বহাল রেখেছেন।
একই অবস্থা দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন আছেন, এর মধ্যে একজন মাতৃত্ব ছুটিতে চলে গেছেন।
শরীফ পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উৎফল সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষক তিনি। বিদ্যায়ের তালা খোলা,লাগানো,পতাকা উত্তোলন সবই তাহাকে করতে হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসের কাজ ও মাসিক সভায় যেতে হলে বিদ্যালয় বন্ধ রেখে যেতে হয়।
একই কথা জানালেন দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) সাথী রাণী তালুকদার।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান বলেন,অনেকের চাপের মুখে আদেশ বাতিল করে পূণরায় আদেশ করতে হয়েছে।
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ