![]() |
| News 24 Express |
মেহেদী হাসান সামাদ, নেত্রকোনাঃ
মোঃ সাগর ইসলাম, বয়স ০৯ বছর, পিতা- সেন্টু মিয়া, গ্রাম - বরকতপুর, থানা- চারঘাট, জেলা- রাজশাহী। চলাফেরায় দূরন্তপনা ও বাকপটু। সারাদিন পাড়ায় ঘুরে বেড়ানো যার কাজ, তাকে স্কুলে পাঠানো বড় দায়। কিন্তু মা- বাবার স্বপ্ন আকাশ সমান। পড়ালেখায় সুশিক্ষিত করতে সাগর কে মনের বিরুদ্ধে গিয়ে স্কুলে ভর্তি করলেও তা আর হয়ে ওঠেনি সঙ্গ দোষে। এ নিয়ে বকুনি খাওয়ার মাত্রা নেই। যা থেকেই অভিমানি হয়ে ওঠে শিশু সাগর। অভিমানে ভর করে গত ১৮/১২/২২ ইং তারিখ সাগর বাড়ির কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাজশাহী স্টেশন থেকে বিমানবন্দর স্টেশন, সেখান থেকে নেত্রকোনা রেল স্টেশন। অজানা অচেনা নেত্রকোনা রেল স্টেশনে হতভম্ব হয়ে এলোমেলোভাবে ঘুরতে থাকা সাগরকে নেত্রকোনা মডেল থানায় হস্তান্তর করে কয়েকজন সচেতন নাগরিক।
বিষয়টি নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ জেলা পুলিশ নেত্রকোনার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ স্যারকে অবহিত করিলে ছেলেটিকে তার পরিচয় বের করে মা- বাবার নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ স্যার থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক অফিসার এসআই রাজিয়া খাতুনকে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে বললে চারঘাট থানায় যোগাযোগ করা হয়। অবশেষে পরিবারের কাছে সাগরের খবর পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। অদ্য ২৪/১২/২২ ইং তারিখ সাগরের পরিবারের লোকজন নেত্রকোনা মডেল থানায় আসলে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশক্রমে সাগরের দাদা মোঃ ফরমান আলী, পিতা- মৃত শুক্রবাদ শাহ, সাং- বরকতপুর, থানা- চারঘাট, জেলা- রাজশাহীর জিম্মায় প্রদান করা হয়।
হারানো নাতীকে কাছে পেয়ে সাগরের দাদা আবেগাপ্লুত হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ স্যার বলেন, হারানো সন্তান কে মায়ের নিকট পৌঁছে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সূত্রঃ নেত্রকোনা মডেল থানা।
