৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে এলেও জনসভায় ‘না’ প্রধানমন্ত্রীর, হতাশ গেরুয়া শিবির

 

News 24 Express 
নিজস্ব প্রতিনিধি:(রৌনক)

বছরের শেষ দিনে বৈঠকে বসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দূষণ থেকে গঙ্গাকে বাঁচাতে ভারতে একটি জাতীয় গঙ্গা পরিষদ রয়েছে। সেই পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতেই ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন মোদি। এ বৈঠকের পাশাপাশি মোদী-মমতার পৃথক বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও যেসব রাজ্য দিয়ে গঙ্গা গেছে যেমন উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খণ্ডসহ মোট ১১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৩০ ডিসেম্বরের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন।

ওইদিন একটি জনসভা করার জন‌্য বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ বার্তা পাঠানো হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে হাওড়ার ডুমুরজলা ময়দানে মোদীকে দিয়ে সভা করিয়ে হাওয়া তোলার পরিকল্পনা ছিল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া রাজ‌্য বিজেপির। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে জনসভা করার অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের  বক্তব‌্য, ‘‘ডুমুরজলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সভা করবেন না প্রধানমন্ত্রী।’’ তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে রাজ‌্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সম্প্রতি এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যা থেকে মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের সম্পর্ক বছরের শেষে স্থিতাবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গত শনিবার একান্ত বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি ভারতের অসংখ্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ অর্থাৎ বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পটি কেন্দ্র সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছে।

বস্তুত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এক জনসভায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বুধবার বলেছেন, তৃণমূলের এমএলএ ভাঙিয়ে সরকার তারা ফেলতে চান না। তিনি বলেন, ভোটে জিতেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।বছরের গোড়ার দিকে মনে হয়েছিল যে কেন্দ্র সরকার তার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে দুর্নীতির তদন্তের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে বিপর্যস্ত করে সরকার ফেলতে চাইছে। এমনটা কিন্তু আর বছরের শেষে মনে হচ্ছে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post