সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার

 

News 24 Express 

মোবারক হোসাইন বিশেষ প্রতিনিধি 

সুনামগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেছেন, “আমি গত জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবৈতনিক ছুটি নিয়ে দীর্ঘ চারবৎসর সুনামগঞ্জ-১ এর জনমানুষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। আমি সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জের মানুষ খুবই অবহেলিত। তাঁদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অবহেলিত ওই সব এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে জনগণ আমাকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।“

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জিং। নির্বাচন হবে অত্যন্ত অংশগ্রণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল। তাসত্বেও দল টানা তিনবার ক্ষমতায়। ফলে কিছুটা অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি প্রভাব আছে। তার উপর দেশের অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। ফলে এবারের নির্বাচনে মানুষ ইতিবাচক ভাবে  চিনে ও জনমানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে এমন যোগ্য, তারুণ্যের উদ্দীপনা সম্পন্ন ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী বাছাই অনেক জরুরি।
 
সুনামগঞ্জ-১ এর ক্ষেত্রে, এখানে নেত্রী অফুরন্ত সহায়তা করেছেন। তিনি এখানকার জন মানুষের জীবন মান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রচন্ড তাগিত দিয়েছেন। তাসত্বেও স্থানীয় সাংসদের নীতি নৈতিকতা ও সক্ষমতা একটা বড় বিষয়। জন নেত্রীর আগ্রহ ও সহযোগিতার তুলনায় এখানে উন্নয়ন হয়েছে অনেক কম। যেটুকু হয়েছে তাও অত্যন্ত ভঙ্গুর - এগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা বা স্থায়িত্বশীল কোনো ভিত নাই। বিদ্যমান সাংসদ, তার পরিবার সদস্য ও তার দ্বারা সৃষ্ট বলয়ের আচরণে এখানে দল নানা ভাবে বিভক্ত।

ড. তালুকদার উল্লেখ করেন, আমার নির্বাচনী এলাকার সবাই বলছেন - শুধু ইউনিভার্সিটিতে পড়ে থাকলে চলবে না। আপনি মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে যান, তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে আপনার জনমত খুবই ভাল। প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, নিজের জীবন যাত্রা ও জীবিকায় নীতি নৈতিকথার বালাই নেই এবং রাজনীতি জীবিকা নির্বাহের হাতিয়ার - এমন প্রথাগত নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আর আস্থা নেই। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, যোগ্য নেতৃত্ব চায়।  মানুষের জীবন যাত্রার মান, কর্ম সুযোগ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়ন, ভূপ্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুণগত পরিবর্তনের সামর্থশীল এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট কন্সটিটুয়েন্সি  বিনির্মাণে কার্যকরী অর্থে সক্ষম এমন যোগ্য নেতৃত্ব চায়।  

তিনি বলেন, এলাকায় আমার সঙ্গে কারো কোনো বিভাজন নেই, কারো জমি, বিল, টেন্ডার নিয়ে বিরোধ নেই। নির্বাচনে কোটি টাকার বাজেট করতে চাই না। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। দেশের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে প্রস্তুত। যদি আলোকিত মানুষ এসব জায়গায় আসতে পারেন তবে  কার্যকরী অর্থেই স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট কন্সটিটুয়েন্সি বিনির্মাণ প্রত্যাশিত সময়ের অনেক আগেই সম্ভব।

নির্বাচনী এলাকার মানুষের ক্রমাগত আগ্রহের প্রেক্ষিতে তিনি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়েছেনঃ ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আমি আবার ফিরে আসব, কিন্তু নিশ্চয়তার সাথে। প্রফেশনাল পজিশন ও মাঠের আট বৎসরের অভিজ্ঞতা, কোনটাই এখন আর অল্প জলে সাঁতার কাটা পারমিট করছে না। আপনার সহযোগিতা ও ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

ধন্যবাদান্তে, ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার, অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, এআইইউবি; আহবায়ক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা; নির্বাচনী এলাকা: সুনামগঞ্জ-১।

Post a Comment

Previous Post Next Post